খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৫
  কে‌সি‌সির অব্যহতিপ্রাপ্ত প্যানেল মেয়র-৩ সংরক্ষিত ৫ নম্বর আসনের সাবেক কাউন্সিলর এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু গ্রেপ্তার

খুলনার ঈদ বাজার : তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে পাকিস্তানী থ্রিপিস

সাগর জাহিদুল

হকার থেকে সুপার মার্কেট, ঈদকে সামনে রেখে বেচাকেনায় সরগরম খুলনার বিপনী বিতানগুলো। দেশী বিদেশী পণ্যের ভিড়ে গুরুত্ব পচ্ছে ক্রেতার রুচি পচ্ছন্দ। ঈদ আবদারে নারীদের সাজ পোশাকের তালিকা লম্বা।

বৃহস্পতিবার নগরীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের চাপ তত বাড়ছে। ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দোকানীরা। তবে এবাবে ঈদের বাজার বাজার দখল করেছে পাকিস্তানী পণ্য। দেখতে সুন্দর এবং ওয়েটলেস হওয়ার কারণে তরুনী ও যুবতীদের পচ্ছন্দের তালিকায় প্রথমে রয়েছে পাকিস্তানী পোষাক। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গেলবারের তুলনায় এবার পোষাকের দাম তুলনামূলক একটু বেশী। পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীরা জানান, ডলারের দাম বেশী হওয়ার কারণে এ মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড় খুলনা শপিং কমপ্লেক্সে ক্রেতার চাপে ভেতরে প্রবেশ করা যেন দায়। সেখানকার বড় বড় দোকানের মধ্যে রয়েছে মারিয়াম এন্টারপ্রাইজ এবং বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ। দোকানে ক্রেতাদের সামাল দিতে মালিক ও কর্মচারীদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। এবার ওই দু’ দোকানে ইন্ডিয়ান পোশাকের সমারহ কম দেখা গেছে। বেশি ছিল পাকিস্তানি পোশাক। পোশাকের মধ্যে রয়েছে নুরস, মতিস, নিভাইস এবং তাওক্কাল। উল্লেখিত এ পোশাকগুলো সাড়ে ৪ হাজার থেকে শুরু করে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

মারিয়াম এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো: আল আমিন হোসেন মিঠু বলেন, ক্রেতাদের আকর্ষণ এখন পাকিস্তানি পোষাকের প্রতি। টিস্যু এবং ওয়েটলেস হওয়ার কারণে ক্রেতারা পকিস্তানি পোশাক নিচ্ছেন বেশী। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পণ্য বা ডিজাইনের যে আধিপত্য ছিল তা এখন আর নেই। পাকিস্তান থেকে কিছু পণ্য এসেছে তবে তা বড় আকারের নয়। কিন্তু পাকিস্তানি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে দেশের টেক্সটাইল খাত অনেক উন্নত। তাই ভারতীয় ডিজাইন ও কোয়ালিটির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে দেশি কোম্পানিগুলো ভালো ভালো কাপড় তৈরি করছে। পাকিন্তানি পণ্যের পাশাপাশি দেশি কাপড়েরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

খুলনা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের ছাত্রী আইরিন ইসলাম নগরীর গ্লাক্সের মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি দেড় ঘণ্টার মতো ঘুরে শারারা ও গারারা কিনেছেন। এটি পাকিস্তানি পোশাক। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে এ পোশাকটি পচ্ছন্দ করে কিনেছেন। তার দাবি, দাম গেলবারের তুলনায় একটু বেশী বলে দাবি করেছেন।

একই বিপনী কেন্দ্রের লেটেস্ট কর্ণারের কর্মচারী মো: রাজিব বলেন, ১০ রমাদানের পর থেকে বেচাকেনা বেশ ভাল শুরু হয়েছে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনা তত ভাল হচ্ছে। বাজারে যতগুলো পোষাকের সমারোহ আছে তার মধ্যে জিমিচু ফেব্রিক্স এবং শারারা গারারার বিক্রি বেশ ভাল। এ পোষাক কিনতে তরুনীদের বেশ ভীড় দেখা যাচ্ছে। মেয়ের সাথে এসে যদি মায়ের পচ্ছন্দ হয় তাহলে মা এবং মেয়ে দু’জনই একই পোশাক ক্রয় করছে। এসব পোশাক সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে পাঞ্জাবির দোকানেও ব্যাপক ভিড় পরিলক্ষিত হয়। খুলনা বিপনী বিতান কেন্দ্রের পঞ্জাবী ঘরের মালিক হুজাইফা বলেন, ১০ রমাদান থেকে পাঞ্জবির বিকিকিনি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। নতুন মডেলের তেমন কোন পাঞ্জাবি আসেনি। যা এসেছে তার মধ্যে রয়েছে ষ্টার ও টপটেন। ষ্টার পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং টপটেন ১০০০ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, পাঞ্জাবি কেনা ক্রেতাদের মধ্যে তরুন, যুবক ও মধ্য বয়সীদের সংখ্যা বেশি। তবে মহিলা ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি। ফ্যামেলীর কাপড় কিনতে মহিলারা আসেন বেশি।

এদিকে খুলনা বিপনী কেন্দ্রের সামনে হকার আব্দুল লতিফ বলেন, আগের তুলনা বেচাকেনা বেশ বেড়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম বেশি তার দোকানে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!